মহাবিশ্বের চারটি প্রধান মৌলিক বল
পদার্থ বিজ্ঞান এ মৌলিক বল হল এমন এক পদ্ধতি কণিকা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে। এটি দেখা যাচ্ছে যে, মহাবিশ্বের প্রত্যেক টি বল কে ভেঙে মাত্র ৪ ধরণের বল (ভাল, সাধারণত চার-আরও বেশি পরে) ই বর্ণনা করা যেতে পারে:
২.যখন আধান বা চার্জ স্থির থাকে , তখন এই বল কুলম্বের সূত্র দ্বারা প্রদত্ত হয় ।
৩.এই বল আকর্ষণধর্মী ও বিকর্ষণধর্মী - উভয় প্রকারের হতে পারে। যখন আহিত কণা দুটি স্থির থাকে তখন তাদের মধ্যে কেবল তড়িৎ বল ক্রিয়া করে। আহিত কণাগুলো গতিশীল হলে তড়িৎ বলের পাশাপাশি কণাগুলোর মধ্যে চৌম্বক বলের সৃষ্টি হয়। দুটি চৌম্বক মেরুর মধ্যবর্তী আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলও তাড়িতচৌম্বক বল।
৪.কুলম্বের বল দুটি আধানের গুনফলের সমানুপাতিক এবং আধানের মধ্যেকার দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক অর্থাৎ F α q1q2 / r2 অথবা F = Kq1q2 / r2 যেখানে K হল ধ্রুবক । K = 9 x 109 N m2 / C2
৫. আধান গতিশীল হলে চৌম্বকীয় প্রভাব তৈরি করে এবং একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় সেই গতিশীল আধানে।
৬. সাধারণভাবে, তড়িৎ এবং চৌম্বক ক্ষেত্র অবিচ্ছেদ্য , তাই এটির নাম হলো তরিৎচৌম্বকীয় বল ।
৭. মহাকর্ষীয় বলের মত, তরিৎচৌম্বকীয় বল বৃহৎ দূরত্বের উপর কাজ করে এবং কোনও মধ্যস্থ মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না।
৮. তরিৎচৌম্বকীয় বলের বিস্তার অসীম।
৯. এটা মাধ্যাকর্ষণ তুলনায় অত্যন্ত শক্তিশালী, কিন্তু এটি সবল নিউক্লীয় বলের তুলনায় দুর্বল।
উদাহরণ স্বরূপ-
(১) নির্দিষ্ট দূরত্বে দুটি প্রোটনের মধ্যেকার তড়িৎবল তাদের মধ্যেকার মহাকর্ষীয় বলের গুণ বেশি
(২) দুটি প্রোটনের মধ্যে তড়িৎ বল 'সবল নিউক্লীয় বল' থেকে দুর্বল (সবল নিউক্লীয় বলের 10-2 গুণ) ।
মহাকর্ষ বল ঃ-
বৈশিষ্ট্য ঃ-
১.এই মহাবিশ্বে প্রত্যেক বস্তু একে অপরকে একটি বল দ্বারা আকর্ষণ করে। মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার এই পারস্পরিক আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বলে। বস্তুর ভরের কারণেই এই আকর্ষণ ঘটে। এটি একটি সার্বজনীন বল। মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুর কারণে প্রতিটি বস্তুটি এই বল অনুভব করে। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর সমস্ত বস্তু পৃথিবীর কারণে মাধ্যাকর্ষণ বল অনুভব করে।
২. মহাকর্ষীয় বল দুটি বস্তুর ভরের সমানুপাতিক এবং পরস্পর দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপানিক । অর্থাৎ F α m1m2 / r F = G m1m2 / r2 যেখানে G সার্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবক। G = ৬.৬৭x১০-১১ N m2 / kg 2
(১) নির্দিষ্ট দূরত্বে দুটি প্রোটনের মধ্যেকার তড়িৎবল তাদের মধ্যেকার মহাকর্ষীয় বলের গুণ বেশি
(২) দুটি প্রোটনের মধ্যে তড়িৎ বল 'সবল নিউক্লীয় বল' থেকে দুর্বল (সবল নিউক্লীয় বলের 10-2 গুণ) ।
মহাকর্ষ বল ঃ-
বৈশিষ্ট্য ঃ-
১.এই মহাবিশ্বে প্রত্যেক বস্তু একে অপরকে একটি বল দ্বারা আকর্ষণ করে। মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার এই পারস্পরিক আকর্ষণ বলকে মহাকর্ষ বলে। বস্তুর ভরের কারণেই এই আকর্ষণ ঘটে। এটি একটি সার্বজনীন বল। মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুর কারণে প্রতিটি বস্তুটি এই বল অনুভব করে। উদাহরণস্বরূপ, পৃথিবীর সমস্ত বস্তু পৃথিবীর কারণে মাধ্যাকর্ষণ বল অনুভব করে।
২. মহাকর্ষীয় বল দুটি বস্তুর ভরের সমানুপাতিক এবং পরস্পর দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপানিক । অর্থাৎ F α m1m2 / r F = G m1m2 / r2 যেখানে G সার্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবক। G = ৬.৬৭x১০-১১ N m2 / kg 2
৩. এটি মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তুর মধ্যে কাজ করে।
৪. মহাকর্ষীয় বলের বিস্তার অসীম।
৫. সবল নিউক্লীয় বলের চেয়ে এটি ১০-৩৯ গুন
মহাকর্ষীয় শক্তির গুরুত্ব- ১. মহাকর্ষ পৃথিবীর চারপাশের চাঁদ এবং কৃত্রিম উপগ্রহের গতি নিয়ন্ত্রণ করে, পৃথিবীর গতি এবং সূর্যের চারপাশে অন্যান্য গ্রহসমূহের গতিও নির্ণয় করে ।
২। মহাবিশ্ব পৃথিবীতে পতিত সংস্থাগুলির গতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তৃতীয়। এটি মহাবিশ্বে এক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে যেমন নক্ষত্র, ছায়াপথ এবং গ্যালাক্টিক ক্লাস্টারগুলির গঠন ও বিবর্তন সম্পর্কে ধারণা দেয়া যায় মহাকর্ষ এর মাধ্যমে ।
সবল নিউক্লীয় বল ঃ-
বৈশিষ্ট্য ঃ-
১. আমরা জানি, পরমাণুর নিউক্লীয়াসের মধ্যে প্রোটন ও নিউট্রন নামক দুটি কণা আছে। এদেরকে সংক্ষেপে নিউক্লীয়ন বলে। পরমাণুর নিউক্লীয়াসের ভিতরে দুটি নিউক্লীয়নের মধ্যে যে শক্তিশালী বল কাজ করে তাকে সবল নিউক্লীয় বল বলে।
২ এ বল নিউক্লীয়নগুলোকে একত্রে আবদ্ধ রাখে। নিউক্লীয়াসের স্থায়িত্বের জন্য দায়ী হলো সবল নিউক্লীয় বল। এই বল খুব স্বল্প পাল্লার এবং আকর্ষণধর্মী। এর পাল্লা নিউক্লীয়াসের ব্যাসার্ধের সমান। মৌলিক বলগুলোর মধ্যে এ বলই সবচেয়ে শক্তিশালী
৩. এটি তরিৎচৌম্বকীয় বলের চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী এবং মহাকর্ষীয় বলের চেয়ে ১০৩৯ গুণ বেশি শক্তিশালী এবং দুর্বল নিউক্লীয় বলের চেয়ে ১০১৩ গুণ বেশি ।
৪. সবল নিউক্লীয় বল একটি আধান-নিরপেক্ষ বল। এটি একটি প্রোটন ও একটি প্রোটন, একটি নিউট্রন ও একটি নিউট্রন, এবং একটি প্রোটন এবং একটি নিউট্রন মধ্যে সমান কাজ করে।
৫. এর বিস্তার অতি ক্ষুদ্র (১০-১৫ m)। যেহেতু এই বলের বিস্তার অতি ক্ষুদ্র তাই ইলেকট্রন এই বলটি অনুভব করে না।
দুর্বল নিউক্লীয় বল ঃ-
বৈশিষ্ট্য ঃ
১. যে স্বল্প পাল্লার এবং স্বল্প মানের বল নিউক্লীয়াসের অভ্যন্তরস্থ মৌলিক কণাগুলোর মধ্যে ক্রিয়া করে তাকে দুর্বল নিউক্লীয় বল বলে। এই বলের কারণেই নিউক্লীয়াসে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয় এবং নিউক্লীয়াস হতে বিটাক্ষয় (-decay) হয়। বিটা-ক্ষয়তে নিউক্লিয়াস থেকে একটি ইলেক্ট্রন এবং আধানহীন কণা নিউট্রিনো নির্গত হয় ।
৪. সবল নিউক্লীয় বল একটি আধান-নিরপেক্ষ বল। এটি একটি প্রোটন ও একটি প্রোটন, একটি নিউট্রন ও একটি নিউট্রন, এবং একটি প্রোটন এবং একটি নিউট্রন মধ্যে সমান কাজ করে।
৫. এর বিস্তার অতি ক্ষুদ্র (১০-১৫ m)। যেহেতু এই বলের বিস্তার অতি ক্ষুদ্র তাই ইলেকট্রন এই বলটি অনুভব করে না।
দুর্বল নিউক্লীয় বল ঃ-
বৈশিষ্ট্য ঃ
১. যে স্বল্প পাল্লার এবং স্বল্প মানের বল নিউক্লীয়াসের অভ্যন্তরস্থ মৌলিক কণাগুলোর মধ্যে ক্রিয়া করে তাকে দুর্বল নিউক্লীয় বল বলে। এই বলের কারণেই নিউক্লীয়াসে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হয় এবং নিউক্লীয়াস হতে বিটাক্ষয় (-decay) হয়। বিটা-ক্ষয়তে নিউক্লিয়াস থেকে একটি ইলেক্ট্রন এবং আধানহীন কণা নিউট্রিনো নির্গত হয় ।
২. দুর্বল নিউক্লীয় বল মহাকর্ষ বল থেকে দুর্বল না কিন্তু সবল নিউক্লীয় বল এবং তরিৎচৌম্বকীয় বলের চেয়ে অনেক দুর্বল।
৩. দুর্বল নিউক্লীয় বলের বিস্তার খুব ক্ষুদ্র, ১০-১৬m
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা পঞ্চম বল এর উল্লেখ করেছেন । পরের পোস্ট এ তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জানাব । ধন্যবাদ ।
৩. দুর্বল নিউক্লীয় বলের বিস্তার খুব ক্ষুদ্র, ১০-১৬m
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা পঞ্চম বল এর উল্লেখ করেছেন । পরের পোস্ট এ তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জানাব । ধন্যবাদ ।
No comments:
Post a Comment